হাড় ও পেশির জোর বাড়ায় ডিম

0
126

ডিমের পুষ্টির কথা কম-বেশি মোটামুটি সবারই জানা। খেতেও বেশ ভালোই লাগে। শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে এর তুলনা মেলা ভার। এতে রয়েছে শর্করা, স্নেহ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। আমাদের দেশে সাধারণত মুরগির, হাঁসের ও কোয়েল পাখির ডিম মানুষ বেশি পছন্দ করে খেয়ে থাকে। ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরির মতো। আবার কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রামের মতো, প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম। এ ছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিংক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম। এ সবই আসলে ডিমের পুষ্টিগুণ বাড়িয়েছে।

পেশি ও হাড়ের জোর বাড়াতে সাহায্য করে ডিম। সেই সঙ্গেই কিভাবে ডিম খাচ্ছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। তেল না থাকার জন্য সিদ্ধ ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা প্রতিদিন শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের কখনই দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। খুব বেশি গরমের দিনে একটির বেশি কখনই খাওয়া উচিত নয়। কাজ করার জন্য এনার্জির দরকার। ডিম খেলে সহজেই এই এনার্জি পাওয়া যায়। ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত এই এনার্জি বা শক্তি পাওয়া যায়। ডিমে থাকা ভিটামিন বি খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

ডিমে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখের জন্য বেশ ভালো। দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে ভিটামিন এ। তা ছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। ছানিও কম হওয়ার দিকে থাকে।

শরীরের জন্য প্রোটিন খুব দরকারি। এই প্রোটিনের মূল উৎস অ্যামিনো এসিড।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here