সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের দিল্লির পরিস্থিতি। ওই আইনের বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্য সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খরর মিলেছে। আহত হয়েছেন আরো ২ শতাধিক মানুষ। এই উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন বলেও জানান কেজরিওয়াল।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লি পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার এক টুইটবার্তায় তিনি এ কথা বলেছেন।
টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, আমি বহু মানুষের সঙ্গে সারারাত ধরে কথা বলেছি। পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সবরকম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও অবস্থা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে দিল্লি পুলিশ। সেনা নামানো উচিত এবং অবিলম্বে আক্রান্ত অন্যান্য এলাকাতেও কারফিউ জারি করা উচিত। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখছি।
দিল্লিতে গত তিন দিনে পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হয়েছে । দিল্লির চার জায়গায় জারি হয়েছে কারফিউ। সেইসঙ্গে জারি হয়েছে ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’ (দেখা মাত্র গুলি)-এর অর্ডার। মৌজপুর, চাঁদবাগ, করওয়ালনগর, জাফরাবাদে জারি হয়েছে কারফিউ। উসকানিমূলক মন্তব্য করলেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। পক্ষে ও বিপক্ষের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলিতে মৃতের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। দুশোরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন অজিত ডোভাল। কথা বলেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সিলামপুর, জাফরাবাদ, মৌজপুর ও গোকুলপুরী ঘুরে দেখেন ডোভাল। বুধবার সকাল ১০ ট ৩০ মিনিটে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভর। সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভাকে রিপোর্ট দেন ডোভাল। মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে আলোচনায় বসে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । দিল্লির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ছিলেন শীর্ষ আইপিএস অফিসার এসএন শ্রীবাস্তব। মঙ্গলবারই তাঁকে স্পেশাল পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।