শাহাদাত হোসেন ভূইয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
বিশ্ব যখন লাশের ভার সইতে পারতেছেনা। পুরো বিশ্ব যখন থমকে দাঁড়িয়েছে।পৃথিবীর প্রায় শহরকে যখন লক ডাউন করে ফেলেছে।তখন বাংলাদেশের মানবতার কল্যান দাবি করা এনজিওগুলো অমানবিকতার শেষ পর্যায়ে চলে গেছে।নোয়াখালীর প্রায় প্রতিটা পরিবারের একজন অথবা দুইজন বা এর অধিক সদস্য জীবিকার জন্য, পরিবারকে একটু সচ্ছলতা উপহার দেওয়ার জন্য বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটা শহরই কর্মবিরতি রয়েছে।বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে জীবিকার জন্য গিয়েছে তারা এই দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছেন।কিন্তু বর্তমানে যেখানে তারা রুম থেকে বের হতে পারতেছে না সেখানে কিভাবে তাদের পরিবার এই মুহুর্তে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবে?দেশের এই সংকটময় মুহুর্তে দরকার ছিল কিস্তি গুলো কালেকশান বন্ধ রাখা।যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে তখন আবার চালু করা।
তা না করে ঋণ গ্রহীতাদের কাছে জোর করে আদায় করা হচ্ছে। নোয়াখালীর প্রায় প্রতিটি উপজেলার ঋণ গ্রহিতাবৃন্দ এই মুহুর্তে দাবি করতেছে সরকারের কাছে। সরকার যেন এই বিষয়ে সুদৃষ্টি দেয়।তা না হলে জনমনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ হবে।তবে এই বিষয়ে বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন সরকার যে নির্দেষ দিবেন সেটা পালন করা হবে।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোর উর্ধতন কর্মকতাদের নিয়ে সরকার আলোচনা প্রয়োজন আছে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন।মাঠ পর্যায়ে যারা নিয়োজিত আছে তারা দাবি করতেছে এটা তাদের রুটিন ওয়ার্ক।উপরের যে নির্দেশ দিবে সেটা তারা পালন করবে।দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সাময়িকের জন্য এই সব ঋন কোম্পানির কিস্তি স্থগিত করা হলে আপাতত কিছুটা প্রাণ সঞ্চার হবে সাধারন ঋন গ্রহিতাদের।