ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে পুরো ভারত। ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি থেকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেলে তা ভারতের পক্ষে খুবই বিপদজনক হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মুম্বাইয়ের বস্তিগুলোতে চার জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পারেলে ৬৪ বছর, জামভিপাড্ডায় ৩৭ বছর বয়স্ক, এছাড়া ঘাটকোপার বস্তিতে ২৫ এবং ৬৮ বছর বয়স্ক চার জনকে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
মুম্বাইয়ের এ বস্তিগুলোতে একটা ১০ ফুট বাই ৮ ফুট ঘরে ৬-৭ জন মানুষ বাস করেন। বস্তিগুলোতে এ রকম পরপর ২০০০ থেকে ২৫০০ ঘর রয়েছে এক একটি বস্তিতে। প্রতি ২০০ পরিবার পিছু একটি সাধারণ শৌচাগার। এদিকে মুম্বাইয়ের কালিমবার জামবালিপাড়া বস্তিতে ৩৭ বছরের এক যুবকের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। প্রায় ৮০০ পরিবারের বাস এবং তাদের জন্য বরাদ্দ মাত্র কয়েকটি শৌচাগার। আক্রান্ত যুবক বিদেশ থেকে ফিরেছেন কিছুদিন আগে। বিমানবন্দরে তার পরীক্ষায় কোনো অসুস্থতার লক্ষণ দেখা যায়নি। পরবর্তীসময়ে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা কস্তুরবা হাসপাতালে চলছে। ওই বস্তিতে আর কেউ করোনাতে আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রশাসন।
বস্তিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখা সম্ভব নয়, বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা যদি একবার করোনা কোনোভাবে এ বস্তিগুলোতে থাবা বসাতে পারে তবে ভারত করোনার তৃতীয় দফা সংক্রমণের পর্যায়ে প্রবেশ করে যাবে।
ইতোমধ্যে সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পাশাপাশি কারফিউ জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব যাতে না হয় তার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।