যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৮৬ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে আট হাজার আটশ ৭৮ জন। এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে পাঁচ হাজার একশ ১০ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচ হাজার পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর।
এরই মধ্যে নিউইয়র্কের বিভিন্ন হাসপাতাল মরদেহ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক লাখ লাশের ব্যাগ দিতে চেয়েছে পেন্টাগন। হাসপাতাল এবং লাশঘরে এসব ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেনাবাহিনীর স্টাইলে প্রথমে ৫০ হাজার ব্যাগ বিতরণ করবে। পরে আরো ৫০ হাজার ব্যাগ কিনে বিতরণের চিন্তা করছে। পেন্টাগনের কর্মকর্তারা মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যাজেন্সি (এফইএমএ) মার্কিন সরকারকে জানিয়েছে, সে দেশের ৫০টি রাজ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে ব্যাগ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সচরাচর বিদেশে নিহত মার্কিন সেনাদের মরদেহ বহনের জন্য ব্যাগ সরবরাহ করে থাকে ওই প্রতিষ্ঠান। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ ব্যাগের চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদামাফিক ব্যাগ সরবরাহ করা হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
এদিকে কেবল নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ এবং মারা গেছে দুই হাজার দু’শ জন। সেখানে মৃতদের দেহ সৎকারে যৌথভাবে সহায়তা করছে এফইএমএ এবং পেন্টাগন।
জানা গেছে, নিউইয়র্ক এবং লস অ্যাঞ্জেলসে রোগীদের চিকিৎসার জন্য তেলের জাহাজ নতুন করে সংস্কার করে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল বানিয়েছে মার্কিন নৌ-বাহিনী। হোয়াইট হাউসের শঙ্কা অনুসারে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে। একেবারে হালকামাত্রার সংক্রমণ ঘটলেও এক লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে সে দেশে।