চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকা প্রকাশ শুরুর পর এই প্রথম মৃতের সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে চীনে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কারো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
তবে দেশটিতে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের মাধ্যমে নতুনভাবে সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। নতুন করে বাইরের দেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে তিন হাজার তিনশ ৩১ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার সাতশ আটজন। তার মধ্যে ৭৭ হাজার ৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
এদিকে ইউরোপের দেশগুলোতে বিশেষ করে স্পেন এবং ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার আগের তুলনায় কমেছে। তবে ওই দেশগুলোতে এখনো মৃতের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৬৭ হাজার চারজন এবং মারা গেছে ১০ হাজার আটশ ৭১ জন।
ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার পাঁচশ ৪৭ জন এবং মারা গেছে ১৬ হাজার পাঁচশ ২৩ জন। অন্যদিকে স্পেনে আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ছয়শ ৭৫ জন এবং মারা গেছে ১৩ হাজার তিনশ ৪১ জন।
জানা গেছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার লাইফ সাপোর্ট (ভেন্টিলেটর) লাগতে পারে। তার মতো আরো অনেকেরই ব্রিটেনে লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন।
আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৫১ হাজার ছয়শ আট জন। তার মধ্যে এরই মধ্যে মারা গেছে পাঁচ হাজার তিনশ ৭৩ জন। চিকিৎসাধীন ৪৬ হাজার একশ জনের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছে এক হাজার পাঁচশ ৫৯ জন।
বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে মোট ১৩ লাখ ৪৬ হাজার চারশ ২৮ জন। এরই মধ্যে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ হাজার ছয়শ ৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ৯ লাখ ৯৩ হাজার একশ ছয়জন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছে ৪৭ হাজার দু’শ ৫৫ জন।