করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে এবারের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে কোনো ফুল কেনা-বেচা নেই দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের হাট যশোরের গদখালিতে। এ কারণে দিশেহারা দেশের সবচেয়ে বেশি ফুল উৎপাদনকারী এ অঞ্চলের ফুলচাষিরা। পর পর কয়েকটি ফুল বিক্রির মৌসুমে ফুল বিক্রি করতে পারেননি তারা। ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ ও পহেলা বৈশাখে বিপুলপরিমাণ ফুল বেচাকেনা হয় এ অঞ্চলে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয় এখানে উৎপাদিত ফুল। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন চাষিরা। তবে করোনার কারণে বন্ধ সব অনুষ্ঠান আয়োজন। নেই কোনো বেচাকেনা। সে কারণে ক্ষেতের ফুল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। অনেকে ফুল কাটলেও বিক্রি করতে না পেরে গরু-ছাগল দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইট দাবি করেছে, করোনার কারণে যশোর জেলার ফুলচাষি ও বিক্রেতা পর্যায়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার। এবং সারা দেশে এ ক্ষতি ২৫০ কোটি টাকার। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, ফুলচাষিরা ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি অনুদান সহায়তা পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক ড. আকতারুজ্জামান বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ের ক্ষতি নিরূপণ করার কাজ করছি। গোলাপ এবং জারবেরা চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া যারা মৌসুমি ফুল চাষ করেন যেমন, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, গাঁদা- তাদেরকে আমরা বলেছি আউশ ধান চাষ করতে। তাহলে তাদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যাবে। আর আমি খুব আশাবাদী বর্তমান সরকার ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী আগেই কৃষির কথা বলেছেন। এ কারণে আমরা আশা করছি ফুলচাষিরা অনুদান সহায়তা পাবেন। এবং তার জন্য আমাদের যা করণীয় আমরা তা করব।