চাঁদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আরো এক যুবক মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ বছর বয়সী ওই রোগী মারা যান। এর আগে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়া রোগীকে ভোররাতে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মৃত সোহাগ মিজির বাবার নাম সৈয়দ মিজি। চাঁদপুর সদর উপজেলার গোবিন্দিয়া গ্রামে তার বাড়ি। তবে পাশের বালিয়া ইউনিয়নের রানীরবাজারে শ্বশুর বাড়িতে অসুস্থ ছিলেন তিনি।
চাঁদপুরে করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সুজাউদৌলা রুবেল জানান, ভর্তি হওয়ার প্রায় ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩০ বছরের এক রোগী মারা যান। তার আগের হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। তিনি আরো জানান, যেহেতু করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী মারা গেছেন। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি মেনে তার মরদেহ দাফন করা হবে। একই সঙ্গে রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। এ ছাড়া তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদেরকে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রামের সৈয়দ মিজির ছেলে সোহাগ মিজি। এই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. আব্দুল কুদ্দুস রোকন জানান, রাজধানী ঢাকায় ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন সোহাগ মিজি। গত ২৪ মার্চ বাড়িতে ফেরেন তিনি। কয়েকদিন পর অসুস্থ হলে শ্বশুর বাড়িতে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, অবস্থার অবনতি দেখা দিলে মঙ্গলবার ভোররাতে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্ভি করেন স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মো. ফয়সাল নামে আরেক যুবক মারা যান। নারায়ণগঞ্জ থেকে সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে গত ১ এপ্রিল শ্বশুর বাড়িতে আসেন এই যুবক। জেলার মতলব উত্তরের মো. ফয়সাল নামে ওই যুবক নারায়ণগঞ্জে আইসিআই কম্পানির কারখানায় কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন চিকিৎসকসহ চারজন চিকিৎসাধীন আছেন।