মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে হঠাৎ করেই বাজারে ডলার সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় দেড় থেকে ২ টাকা।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বলছে, করোনার কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ কমে গেছে। কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বাজারে ডলার সরবরাহ বাড়ানো, যাতে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যেসব পণ্য আনার জন্য আগে ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছিল সেসব পণ্য দেশে এসেছে। ব্যাংকে পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য বিল আসছে। এই এলসির বিল দিতে হয় ডলারে। নির্ধারিত বিনিময় মূল্য অনুসারে আমদানিকারকরা টাকা পরিশোধ করেন, আর ব্যাংকগুলো ডলারে এলসি মূল্য বিদেশি বিক্রেতাকে পরিশোধ করেন। আগে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা থেকে ৮৫ টাকা। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক ধরে ব্যাংকগুলো ডলারের মূল্য ধরছে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮৭ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে দেড় থেকে ২ টাকা পর্যন্ত। যেসব বড় প্রতিষ্ঠান ৫০ লাখ ডলারের এলসি খুলেছিল তাদের ব্যয় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা বেড়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি বলেন, করোনার কারণে রপ্তানি আয়ে ধস নেমেছে। কমছে রেমিট্যান্সও। এ জন্য বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে।