মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ভেন্টিলেটর বা অক্সিজেন সরবরাহকারী যন্ত্র। কিন্তু পৃথিবীজুড়ে এর ব্যাপক সংকট। এ অবস্থায় মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশেই ভেন্টিলেটর তৈরির উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।
ইতোমধ্যেই ভেন্টিলেটরের ৩ মডেলের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে তারা সরকারের আইসিটি বিভাগকে হস্তান্তর করবে।
এর আগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোল্ড তৈরি করে ফেস প্রোটেকটিভ শিল্ড এবং সেফটি গগলস উৎপাদন শুরু করে ওয়ালটন। খুব শিগগিরই এন্টি-ফগ প্রযুক্তির গগলস তৈরি করতে যাচ্ছে দেশের যে কোনো দুর্যোগে এগিয়ে আসা এ প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া, পিএপিআর (পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর), ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, রেসপিরেটরি মাস্ক ইত্যাদি চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে ওয়ালটন কারখানায় পুরোদমে কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারের আইসিটি বিভাগকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভেন্টিলেটরগুলো হস্তান্তর করবে ওয়ালটন। এ সময় আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ওয়ালটন এবং মেডট্রনিক্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডিট্রনিক্স তার পিবি৫৬০ মডেলের ভেন্টিলেটর তৈরির কারিগরি সহযোগিতা দিতে সম্মত হয়। আইসিটি বিভাগের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ওই ভেন্টিলেটর তৈরির কার্যক্রম শুরু করে।
জানা গেছে, মেডট্রনিক্সের পিবি৫৬০ মডেলের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী ওয়ালটনে তৈরি ওই ভেন্টিলেটরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডব্লিউপিবি ৫৬০’। পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যেগে আরও দুটি মডেলের ভেন্টিলেটরের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। এই দুই মডেলের ভেন্টিলেটরের একটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ালটন কোভিড ভেন্টিলেটর ২০২০’ বা ‘ডব্লিউসিভি-২০’। অন্যটির নাম ‘ডব্লিউএবি-২০’।
ওয়ালটনের তৈরি এ ৩ মডেলের ভেন্টিলেটর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য হস্তান্তরের মধ্যদিয়ে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য এবং মেডিক্যাল যন্ত্র উৎপাদন শিল্পে নতুন এক যুগের সূচনা ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের মতো এ খাতেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ।