গাইবান্ধার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্য কুমেদপুর গ্রামে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামে একব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার মরদেহ নিজ গ্রামে দাফন করতে দেয়নি এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১ মে) পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় শ্বশুরবাড়িতে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম ঝন্টু খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, শুক্রবার বিকালে তার লাশ দাফনে গ্রামবাসী বাধা দেয়। পরে একই ইউনিয়নের তালুক মন্দুয়ার গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হয়।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. হাফিজুর রহমান জানান, জাহাঙ্গীর আলম নারায়নগঞ্জে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার সকালে শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে তিনি মারা যান। কিছুদিন থেকে তিনি লিভারের সমস্যাতেও ভুগছিলেন বলেও জানান তিনি।
গাইবান্ধা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহফুজার রহমান জানান, মৃত ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য তা রংপুর মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহারিয়া জানান, ওই মৃত বক্তির সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।