করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। টেলিভিশন ও অনলাইনে ক্লাস নেয়া ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম।
তবে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই পরীক্ষার আয়োজন করছে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের সয়া-চাকতায় এলাকায় অবস্থিত অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
সোমবার (৪ মে) থেকে শুরু হয়ে পুরো মাসব্যাপী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় কথা রয়েছে স্কুলটিতে। স্কুলটির পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম জানান, “বিষয়টি আমার জানা নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে না।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এরকম সময়ে পরীক্ষার আয়োজন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষার্থীর স্ব-স্ব বাড়িতে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।
অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ফজলুল হক জানান, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ালেখায় আগ্রহ বাড়াতে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ৫শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে শনিবার ১৩৫ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছে। বাকিদের প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে।”
তবে অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে প্রশ্নপত্র আদান-প্রদান করার মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। এইভাবে পরীক্ষায় নেয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের অভিযোগ, ফি আদায় করার জন্য এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তাই পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানান অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শনিবার স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়েছে। এ সময় দু-একটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রও দেওয়া হয়েছে। বাকী প্রশ্নপত্র বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তরুণ ইউসুফ বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষার্থী একসাথে লেখাপড়া করে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেশি। এমন ঝুঁকির মধ্যে পরীক্ষা নেয়া ঠিক হবে না। পরীক্ষার ফি নেয়াটাও বর্তমান সময়ে অন্যায়।”