ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে যশোরের বিভিন্ন এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঘরের উপর গাছ পড়ে মারা গেছে মা-মেয়ে। আহত হয়েছে অর্ধশত। এছাড়া গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙ্গে পড়ায় বিভিন্ন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে, তবে সে ক্ষতির পরিমান এখনও নিরুপন হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রষারণ কর্মকর্তা।
গতকাল রাত ১০ টার দিকে ঘুর্ণিঝড় আম্পান যশোরে আঘাত হানে। যশোরস্থ বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। ঝড়ের তান্ডবে রাতে চৌগাছা উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি ঘরের উপর গাছ পড়ে খ্যান্ত বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়া নিহত হন। ঝড় যশোর অতিক্রম করার সময় গাছ-পালা ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। সকাল হতেই যার চিহ্ন মেলে। যশোরের প্রায় প্রতিটি এলাকায় গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে পড়ে। স্থানীয়দের অভিমত, স্মরণকালে তারা এমন ভয়াভহ ঝড় দেখেননি। এদিকে গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙ্গে সড়কে পড়ায় যশোরের সাথে খুলনা ও সাতক্ষীরার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, যশোরে ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আম ও লিচু রয়েছে। সবজি রয়েছে ২০ হাজার হেক্টর, পানের বরজ রয়েছে ১১০০ হেক্টর। এসব ফল ফসলের কিছু ক্ষতি হবে। তবে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ জানিয়েছেন, আম্ফানের কারণে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে ফায়ারসার্ভিস কাজ শুরু করেছে। দ্রুতই সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী হবে।