সোহেল রানা, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি।


মালয়েশিয়ায় কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) দেশটির বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে এরই মধ্যে ৩৫ জন অভিবাসী করোনা আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জন মিয়ানমার, ১৫ জন ভারত ও ১ জন করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও ইজিপ্টের নাগরিক রয়েছে। আক্রান্ত ৩৫ জন বন্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেছে, যে বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্নস্থানে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ধরপাকড় অভিযানে নামে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। সেখানে আটক অভিবাসীদের মধ্যেই এই করোনার লক্ষণ পাওয়া যায় বলে জানা যায়।
অন্য সূত্রে জানা যায়, দেশটির ইমিগ্রেশন ডিপোগুলোর প্রতিটি ওয়ার্ড ও সেলে প্রতিদিন জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজনে বন্দীদের মাস্ক পরানো হচ্ছে। কারাগারে আসা নতুন বন্দীদের জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সব কারাগারে কিছু ওয়ার্ড ও সেল খালি করে কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

এদিকে, মালয়েশিয়ান মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (এমএমএ) থেকে বলা হয়, নতুন করে আটককৃত আরো শতাধিক বন্দী সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এছাড়াও সংগঠনটির সভাপতি আরও বলেন, সংক্রামক রোগ বিস্তার ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কারাগারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। কারাগারে কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাব বন্দী, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ওপরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত জনবহুল কারাগারে যেখানে স্বাস্থ্যসেবা অপর্যাপ্ত। একটি সংক্রমণের ঘটনা কারাগারে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বন্দী ও কারাগারের কর্মীসহ সবাইকে একইভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
এদিকে, কারাগার সূত্রে বলা হয়, কারাগারের বন্দীদের অবস্থার উন্নয়ন ও তাদের সেবা দেয়ার কাজ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বন্দীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা কাজ করছে।