(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
থামছে না তিস্তার নদী ভাঙন।বৃষ্টির পানি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে অব্যাহত ভাঙনে উঠতি ফসলসহ বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে।সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর পুটিমারী,লালচামার গ্রামে হাজার হাজার একর ফসল জমি ও পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।তিস্তার ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে।একদিকে যেমন করোনা ভাইরাস অন্যদিকে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনের মুখে পরে বেসামাল হয়ে গেছে তিস্তা পাড়ের মানুষজন।বিশেষকরে কাপাসিয়া,হরিপুর এবং শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে বেগুন,মরিচ,পটল,করলা ও শশা এবং তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলের সমাহার দেখা দিয়েছে।কিন্তু সর্বনাশা তিস্তা সেসব ফসল ঘরে তুলতে দিচ্ছে না।এভাবেই চরের মানুষরা তরি-তরকারি আবাদ করে ৬মাস সংসার
চালায়।নদীভাঙন অব্যাহত থাকায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে দিন পার করছে।
শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান,নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদী ভাঙন রোধ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।কারণ দীর্ঘদিন ধরে নদীতে পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে।নদীভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যাপক উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানিয়েছেন,নদীভাঙনের বিষয়টি তিনি জানেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান,নদীভাঙন রোধ একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা।তবে নদী সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের ব্যাপক উদ্যোগে পরিকল্পনা রয়েছে।