মেস ও বাড়ি ভাড়া নিয়ে যখন চরম বিপাকে সম্পূর্ণ অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা ঠিক তখন একের পর এক বেফাঁস/চাটুকার মন্তব্য করছেন ভিসি ড. মীজানুর রহমান।
মেসের ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাশ্ববর্তী থানায় অভিযোগ জানিয়ে বাড়তি হয়রানির মুখে পড়ছেন জবি শিক্ষার্থীরা। এদিকে প্রতিদিন মেস মালিকরা ফোনকলে ভাড়ার জন্য তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। ভাড়া কিছুটা মওকুফ কিংবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাসা থেকে মালামাল বাহিরে ফেলে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এনিয়ে মালিকদের সাথে দ্বন্দ্বে গেলে পরবর্তীতে মেস ভাড়া পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তাই বাড়ি ভাড়া নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আয়শা আফরিন লক্ষ্মীবাজার এলাকায় মেস ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর গ্রামের বাড়ি চলে আসি। এরপর থেকে প্রতি মাসে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য ফোন দেয়। এনিয়ে দুই মাসের ভাড়াও পরিশোধ করেছি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গত এক মাসের ভাড়া দিতে সমস্যায় পড়ি। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে ফোন দিলে উনি থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। অনেক কষ্টে থানায় যোগাযোগ করলে, ওনারা আমাকেই বাড়িওয়ালার সাথে কথা বলে মিউচুয়াল করতে বলেন। এরপর পুনরায় প্রক্টরকে ফোন দিলে উনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোনো বড় ভাইকে বলে সমাধান করতে। এই শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমি প্রক্টর স্যারকে ও থানায় ফোন দিয়েছি। কোনো সহযোগিতা পাচ্ছিই না, উল্টো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমাদের হল সুবিধা নেই, সে হিসেবে আমাদের সংকটকালীন সম্পূরক অর্থ সহায়তা দিতে পারে।
রাজধানীর সূত্রাপুর থানার এস.আই সুব্রত কুমার জানান, আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুলো পাচ্ছি। অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়া দিয়েই তার পরিবার চালায়। তাদেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। দুপক্ষই পরিস্থিতির শিকার। আমরা অনেকগুলো সমস্যা দেখেছি। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানিয়েছি। এই সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমানকে মেসভাড়া বিষয়ে ফোন দেয়া হলে তিনি শুরুতেই বলেন, মেসভাড়া নিয়ে আমাকে কেউ কল দিবানা।
শিক্ষার্থীদের সমস্যা তাহলে কে সমাধান করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ভিসি বলেন, তোমরা এতো মিসকিন, নিজেদের আত্মমর্যাদা পর্যন্ত নেই। আমি কি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম যে, দরিদ্রদের ভর্তি করা হয়। এটা কি দরিদ্রদের এতিমখানা?না মাদ্রাসা? বিড়ি-সিগারেট, রিক্সা ভাড়া, বান্ধবীরে আইস্ক্রীম খাওয়ানো লাগতেছেনা। এসব টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেনা কেন?
এমন মন্তব্যের পর জাবি ভিসি সমালোচনার তোপে রয়েছেন।