বুড়িগঙ্গাপাড়ে এখন লাশের মিছিল। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে লাশের সংখ্যা। কিছুক্ষণ আগে এই সংখ্যা ছিল ২০। এরই মধ্যে বেড়েছে আরো তিনটি।
তবে এখানেই শেষ নয়। ডুবুরিরা কিছুক্ষণ পর পর যেভাবে লাশ তুলে আনছেন তাতে লাশের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ জুন) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। তবে স্থানীয়দের অনেকে বলছেন, লঞ্চটিতে এর চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল।
জানা গেছে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির নাম মর্নিং বার্ড। ময়ুর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় অন্তত ৫০ যাত্রী নিয়ে কুমিল্লা ডক এরিয়ার পাশে ডুবে যায় ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী লঞ্চটি।
লঞ্চডুবির খবর পেয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সঙ্গে বিপুল সংখ্যাক স্থানীয় মানুষ সহায়তা করছে। তবে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওয়ানা দেওয়া বিআইডাব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ এখানো পৌঁছায়নি।
বিআইডাব্লিউটিএ সূত্র জানায়, সকাল ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। এটি সদরঘাটে বার্দিং করার আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড লঞ্চটি।