সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, শেখ ফারুক:
সাতক্ষীরা জেলার সকল হাসপাতালের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘ফণি’ মোকাবেলায় জীবনরক্ষাকারী ঔষধ সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কর্তৃক চাহিদা অনুযায়ী প্রাপ্ত ঔষধ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এমএসআর (ইডিসিএল) সার্ভে কমিটির ষড়যন্ত্র ও গাফিলতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অজন্তে অবহেলায় সিভিল সার্জন অফিসের দোতলায়।
মেয়াদ শেষ হতে চলেছে প্রায় কোটি টাকার জীবনরক্ষাকারী ঔষধের। কিন্তু কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। ঔষধের অভাবে সাধারণ রোগীরা ভোগান্তীর শিকার হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাস-২/সাধারণ-১৫১/৯৫/৭৭১ নং বিজ্ঞপ্তিতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন ডাক্তারকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট সার্ভে কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির ৩জন সদস্য দীর্ঘদিন একই হাসপাতালে চাকুরী করায় তারা সিভিল সার্জনের নির্দেশ ও অমান্য করছেন।
অপরদিকে জীবনরক্ষাকারী জনগণের কোটি টাকার জরুরী ঔষধ নষ্ট হতে চলেছে।
এব্যাপারে স্টোরকিপার এ.কে.এম ফজলুল হক বলেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল ইসলাম সার্ভে কমিটিকে লিখিতভাবে নির্দেশ দিলেও আজো সার্ভে কমিটি প্রায় ২০ রকমের ঔষধ সার্ভে না করায় সিভিল সার্জন অফিসের দোতলার বারান্দায় দীর্ঘদিন রাখা আছে। সার্ভে কমিটি বিষয়টি কেন এড়িয়ে যাচ্ছে জানিনা।
এব্যাপারে এমএসআর (ইডিসিএল) সার্ভে কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি সার্ভে কমিটির সভাপতি কিনা তা আমি জানিনা। তবে আগের সিভিল সার্জন কর্তৃক হাসপাতালের মালামাল ক্রয়ে সমস্যা হয়েছে বলে সকল সার্ভে কাজে আমিসহ অনেকে বিরত আছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘ফণি’ মোকাবেলায় কোন ঔষধ সাতক্ষীরায় এসেছে কিনা তা আমি জানিনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘ফণি’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরা থেকে ঔষধ চেয়ে কোন চাহিদা পত্র পাঠানো হয়নি।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা জেলার সকল হাসপাতালের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘ফণি’ মোকাবেলায় জীবনরক্ষাকারী ঔষধ সাতক্ষীরায় আসায় সার্ভে কমিটির সভাপতিসহ ৩ জনকে সিভিল সার্জন অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং ৩দিনের মধ্যে সার্ভে করার কথা বলা হয়েছে। তাহলে তিনি কিভাবে বলেন তিনি জানেননা। তিনি কমিটির সভাপতি সার্ভে করা তার দায়িত্ব। কোটি টাকার ঔষধ মেয়াদ শেষ হলে ফেলে দিতে হবে। সার্ভে কমিটিকে আবারও নির্দেশ দেবেন বলে জানান।
এব্যাপারে সচেতন মহলের দাবী সাধারণ জনগণের জীবনরক্ষাকারী ঔষধ নিয়ে যারা গাফিলতি ও অবহেলা করে তারা ডাক্তার নামের কলঙ্ক। ঐসব দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্ট্রান্তমূলক শাস্তির জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।