এইতো বেশ আছি–
চলছে লকডাউন, নেই কোন শোডাউন;
শহর গ্রাম সব জায়গাতে সবাই অবরুদ্ধ,
চলছে অদৃশ্য জীবানুর সাথে বিরামহীন যুদ্ধ।
দূরত্বের রেড়াজালে আপন গৃহে বন্দি সবাই,
পাড়া পড়শীর নেই কোন আনাগোনা;
হাতে হাত রাখা কিংবা বুকে বুক মিলানোর কোন সুযোগ নেই,
মাঝখানে একটা দেয়াল তৈরি করে দেয়া হয়েছে,
দেয়াল এপাশ থেকে ওপাশে হয় ভাব বিনিময়,
এভাবেই চলছে কোনরকম দিনকাল–
তবুও তো বেঁচে আছি।
নেই কোন হই হুল্লোড়,নাচ গান,চাকচিক্য জীবন,
চারদিকে এক ভূতুরে পরিবেশ,
নেই যানবাহন,নেই কোন ট্রেন,নেই লঞ্চ কিংবা বিমান,
রাস্তা ঘাট ফাঁকা,বের হওয়া যায় না প্রয়োজন ছাড়া,
মাঝে মাঝে শোনা যায় লাশবাহী যানের সাইরেনের ভয়ংকর শব্দ,
খাই বা না খাই,তবুও তো এখনও বেঁচে আছি।
এইতো বেশ আছি—
ভোরবেলা উঠে অফিসে যাবার কারো কোন তাড়া নেই,
কলকারখানা তালা ঝুলছে,শ্রমিকের চোখে হতাশা,
স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যাল বন্ধ,ছাত্রের অনিশ্চিত ভবিষ্যত,
টুংটাং শব্দে ঘুরে না রিক্সার চাকা,গরীবের চোখে জল,
হাটবাজারে যাওয়া হয় না টাকাকড়ি নেই বলে;
ভালো মন্দে, তবুও তো এখনও বেঁচে আছি।
বিশ্বাস করি,এ মহামারি থাকবে না বেশিদিন,
থাকবে না কষ্টের এই জীবন প্রবাহ,
হয়তো সহসাই কেটে যাবে অমানিশার আঁধার,
মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াব আবারও সবাই,
নির্দ্ধিধায় বুক ভরে নেব বিশুদ্ধ বাতাস;
হাতে হাত মিলাব,মিলাব বুকে বুক,
গড়ব সেতু বন্ধন,উঠব মেতে আনন্দ-উল্লাসে,
ফিরে আসবে কর্ম চাঞ্চল্য,মুখরিত হবে বিদ্যাপীঠ,
ফিরে আসবে আবার হারিয়ে যাওয়া সুখের সাম্পান ।
দেখা হবে বন্ধু,দেখা হবে আবার নব দীপ্ত শপথে,
সম্মেলিত চুড়ান্ত যুদ্ধ শেষে,বিজয়ীর বেশে;
নিষ্কণ্টক-সুন্দর এক নতুন পৃথিবীতে।