করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে বিশ্ববাজারে দফায় দফায় বেড়েই চলেছে সোনার দাম। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গতকাল বাংলাদেশেও দাম বাড়ানো হয়েছে। দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ইতোমধ্যে ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এক হাজার ৯০০ ডলার স্পর্শ করেছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর ছাড়া স্বর্ণের এত দাম আর কখনও দেখা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে কয়েক দিনের মধ্যেই এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিকোতে পারে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে। গত বছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল এক হাজার ৪৫৪ ডলার। এরপর করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার ৬৬০ ডলারে গিয়ে ঠেকে দাম।
মার্চে কিছুটা দাম কমলেও তা দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। মে মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণ এক হাজার ৭৪৮ ডলারে উঠে যায়। এরপর থেকে স্বর্ণের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের এমন দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে গতকাল বাংলাদেশেও দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। শুক্রবার (২৪ জুলাই) থেকে স্বর্ণের বাড়তি দাম কার্যকর হয়েছে।
দেশের বাজারে নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৭৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৬৩৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৬০ হাজার ৮৮৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতিতে স্বর্ণের দাম ৫০ হাজার ৫৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দাম আগে কখনও এত ছিল না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।