করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর আগামীকাল বুধবার থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। করোনার মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ইংল্যান্ড। আসন্ন সিরিজে সেটা হবে তাদের আত্মবিশ্বাস। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ দুই সিরিজে হারেনি পাকিস্তান। ম্যানচেস্টারে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।
মহামারির মধ্যে উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটকে মাঠে ফেরানোর পর ওয়ানডে ফরম্যাটকেও ২২ গজে ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে মরগ্যানরা খেলেছে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ইতোমধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। যার শেষ ম্যাচটি আজ অনুষ্ঠিত হবে। এটি আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম সুপার লিগ সিরিজ।
টেস্ট সিরিজের জন্য এক মাস আগে ইংল্যান্ডে পা রাখে পাকিস্তান। এখানে পৌঁছানোর পর পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের দুই বার করে করোনা পরীক্ষা করে ইসিবি। সেই পরীক্ষায় সবাই উত্তীর্ণ হন। পরে টেস্ট সিরিজের জন্য পিসিবি ২০ সদস্যের দল ঘোষণা করে। তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করতে মুখিয়ে আছে আজহার আলীর নেতৃত্বাধীন দলটি। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে সর্বশেষ দুই সফরে সিরিজ হারেনি পাকিস্তান। ২০১৬ সালে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ ও ২০১৮ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল।
২০১৬ সালের সফরে পাকিস্তানের নেতৃত্বে ছিলেন মিসবাহ উল হক। আর ২০১৮ সালের সফরে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন সরফরাজ আহমেদ। দুই জনই এই সফরে দলের সাথে আছেন। মিসবাহ আছেন দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক হিসেবে। অধিনায়কত্ব খুইয়ে সরফরাজ এখন দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছে ১৯৯৬ সালে। তাই পাকিস্তানের জন্য সিরিজ জয়ের বন্ধ্যাত্ব ঘোচানোর পালা। যে কারণে এশিয়ার দেশটিকে হেলাফেলা করতে রাজি নয় জো রুটের দল।
জো রুট বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে পাকিস্তান শক্তিশালী দল। কারণ পাকিস্তানের বোলিং লাইন-আপ বিশ্বমানের। গত দুই সফরে তারা বোলারদের হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে। তাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো মানের। তাই সিরিজে দারুন লড়াই হবে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও ভালো করতে হবে। বোলাররা দারুন ফর্মে রয়েছে। ব্রড-এন্ডারসন-আর্চার, সর্বশেষ সিরিজে দারুন করেছে। আশা করছি, পাকিস্তানের বিপক্ষে, সেরা পারফরমেন্সই করবে ব্রড-এন্ডারসনরা।’
অন্যদিকে টেস্ট সিরিজে ভালো করার আশা ব্যক্ত করে পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলী বলেছেন, ‘আমরা সকলেই অন্যরকম এক অনুভূতির মধ্যে আছি। কারণ দীর্ঘদিন পর ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছে সবাই। তবে ২২ গজে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খেলাটা সবসময়ই কঠিন। কিন্তু গত এক মাসে এখানকার কন্ডিশনের সাথে আমরা দারুনভাবে মানিয়ে নিয়েছি। এখন মাঠের পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়াটা আসল লক্ষ্য। সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করলে আমরা সাফল্য পাব।’