আগামী শনিবার থেকে ফের শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের একক অনুশীলন। এবার আরো অধিক সংখ্যক ক্রিকেটার অংশ নিবেন বলে আশা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। এবারের অনুশীলনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
বর্তমানে ঢাকায় অবস্থানরত মুমিনুল প্রথম দিন থেকেই একক অনুশীলনে যোগ দিবেন। তবে কয়েকদিন বিলম্ব ঘটতে পারে মুস্তাফিজুরের ক্ষেত্রে। নিজের সাতক্ষীরার বাড়ী থেকে আগামী সপ্তাহে ঢাকা ফিরবেন ‘ফিজ’। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স এর চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘আগস্টে ফের শুরু হওয়া একক অনুশীলনে কতজন যোগ দেবে আমরা এখনো জানিনা। তবে শুনেছি মুস্তাফিজ ও মুমিনুল যোগ দিতে আগ্রহী।
গ্রুপ অনুশীলনের সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি জানিয়ে আকরাম খান বলেন, ‘আরো অনেক খেলোয়াড়ই এই অনুশীলনে অংশ নিতে পারেন। আমরা এদের জন্য অনুশীলন সুচি প্রণয়ন করব। যাতে সবাই সঠিকভাবে অনুশীলনের সুযোগ লাভ করতে পারে। আমাদেরকে প্রথমে পরিস্থিতি দেখতে হবে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রনে আসেনি । তাই আমাদেরকে সবকিছু সঠিক ভাবে চিন্তার মধ্যে রাখতে হবে। আমরাও যত দ্রুত সম্ভব গ্রুপ অনুশীলন শুরু করতে চাই। কিন্তু এ জন্য কোন ঝুঁকি নিতে চাই না।’
দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন বিস্তার লাভ করলে নিজ গ্রামে ফিরে যান মুমিনুল ও মুস্তাফিজ। সেখানে বসেই বিসিবির গাইডলাইন মেনে ফিটনেস অনুশীলন চালিয়ে গেছেন তারা। ইতোমধ্যে ১৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিসিবির প্রথম পর্বের একক অনুশীলনে কেউই অংশ নিতে পারেননি। ওই পর্বে সর্বমোট ১৪জন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছিল। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ঢাকা, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের কয়েক দিনের জন্য একক অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়েছিল বোর্ড। পরে ওই তালিকায় যুক্ত করা হয় রাজশাহীকে। যেখানে অনুশীলন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
মুশফিক, মোহাম্মদ মিথুন, শফিউল ইসলাম, ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান রানা তাদের অনুশীলনের জন্য বেছে নেন শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে। পরে তাদের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। মেহেদি হাসান মিরাজ, মেহেদি হাসান ও নুরুল হাসান সোহান অনুশীলন করেছেন খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। নাসুম আহমেদ ও সাঈদ খালেদ আহমেদ অনুশীলন করেছেন সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন নাঈম হাসান।
৩৫ খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনার পর ফিটনেসের কথা ভেবে একক এই অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। তবে বোলিং করার সুযোগ পায়নি বোলাররা। শুধু রানিং ও জিমের মধ্যেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদেরকে। অবশ্য ব্যাটসম্যানরা ইনডোরে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছিল।