ম্যানচেষ্টারে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের অসাধারণ জয়ের মূল নায়ক উইকেটরক্ষক জস বাটলার ও অল-রাউন্ডার ক্রিস ওকস। ২৭৭ রানের টার্গেটে ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা যখন হারের মুখে ছিল, তখন বাটলার ও ওকস ষষ্ঠ উইকেটে ১৯৯ বলে ১৩৯ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়ে দলকে রক্ষা করেন। বাটলার ৭৫ রান থামলেও ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন ওকস (৮৪*)।
অথচ এই বাটলার-ওকসই দল থেকে ছিটকে পড়ার চিন্তায় ছিলেন। ফর্মে ছিলেন না বাটলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত টেস্টে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। তার আগে ১৪ ইনিংস ছিলেন সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিহীন। তাই দলে বাটলারের অর্ন্তভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনা ছিল ব্যাপক। তবে বাটলারের পাশে ছিলেন কোচ ক্রিস সিলভারউড ও অধিনায়ক জো রুট। তাদের পাশে পেয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠলেন বাটলার। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে হারের মুখ থেকে রক্ষা করে জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন তিনি।
বাটলার নিজেও জানতেন, এই টেস্টে খারাপ করলে দল থেকে বাদ পড়াটা তার জন্য সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ম্যাচ শেষে বাটলার বলেন, ‘অবশ্যই এই ভাবনা এসেছে, এবার রান করতে না পারলে এটিই আমার শেষ ম্যাচ। এসব ব্যাপার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে মাঠে নেমে সেই ভাবনাগুলো ভুলে গিয়ে খেলায় মনোযোগী হই এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। আমি সন্তুষ্ট যে, দলকে জয়ের স্বাদ দিতে পেরেছি।’
দলের পেস কম্বিনেশনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ওকস। সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমান করেছেন তিনি। দুই টেস্টে ১১ উইকেট নিয়েও পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তিনি অনিশ্চিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দলে সুযোগ পাব কিনা, সেটি নিয়ে চিন্তা করতে হতো। কারণ দলের পেস কম্বিনেশনের বারণে এমন প্রশ্ন উঠত। তারপরও সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতাম। আবারও নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগিয়েছি। এবার ব্যাট হাতে দলের জয়ের ভূমিকা রেখেছি। আশা করি, জায়গা ধরে রাখার মত পারফরমেন্স করতে পেরেছি।’