ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদঘুর জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ শায়খুল হাদিস আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজী ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর জানাজায় ২০ হাজার লোকের সমাগম ঘটেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কম লোকের সমাগমে জানাজা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যেও করোনা পরিস্থিতিতে এত লোকের সমাগম হয়। তবে প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে লাখো লোকের সমাগম হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার বিকেলে মাদরাসায় মনিরুজ্জামান সিরাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে জেলা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই লোকজন আসে। তবে বিভিন্ন স্থানের পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ করা হয়। জানাজায় অংশ নিতে লোকজন কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দাঁড়িয়ে পড়লে ঘণ্টা দুইয়েকের বেশি সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
মনিরুজ্জামান সিরাজী (৯১) রবিবার দুপুরে পৌর এলাকার ভাদুঘরের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। বড় হুজুর হিসেবে পরিচিত মনিরুজ্জামান সিরাজী হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আমির ছিলেন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার জানাজার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। যে কারণে শেষ পর্যন্ত নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম, জেলা ঈদগাহ মাঠ বাদ দিয়ে ভাদুঘরের মাদরাসায় সীমিত পরিসরে জানাজা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
তবে বাদ আছর জানাজার সময় নির্ধারণ করা হলেও বিকেল ৪টা থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। আগতদের পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এত মানুষ জড়ো না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদের দাবি, জানাজায় ছয়-সাত হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। সড়কে লোক সমাগমের কারণে যান চলাচল বন্ধ ছিল বলে তিনি স্বীকার করেছেন।