জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত কার্যক্রম গতিশীল করতে দেশের সব উপজেলায় একটি কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করে তাতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা বা থানা পর্যায়ে একজন মাত্র কর্মকর্তা রয়েছেন। বর্তমানে তাঁদেরকে বিসিএস নন ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। একটি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এই একজন কর্মকর্তার পক্ষে কাজ করাও কঠিন। কেননা, নির্বাচন কর্মকর্তার প্রধান কাজই হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচন পরিচালনা করা। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এনআইডি সংক্রান্ত কাজগুলোও করতে হয। এক্ষেত্রে তাঁকে এনআইডি সংশোধন, স্থানান্তর ইত্যাদি আবেদন নেওয়া ছাড়াও সেগুলো সরেজমিন তদন্ত, শুনানি ইত্যাদি করতে হচ্ছে। আবার এনআইডি বিতরণ, স্মার্টকার্ডের কাজও দেখতে হচ্ছে।
ইসি এনআইডি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অনেক সময় বাড়তি চাপের কারণে সুযোগ নেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা। তাদের অনেকে অনিয়মেও জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচন কমিশন মাঠ পর্যায়ে অনেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ইতোমধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায়ও এনেছে।
ওই কর্মকর্তারা আরো জানান, কমিশনের কাছে সমস্যাগুলো উপস্থাপনের পর উপজেলা বা থানা পর্যায়ে নতুন একটি পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত আসে। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলায় ‘সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা’ নামে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে নিয়োগবিধি এখনো হয়নি। শিগগির সব গুছিয়ে এনে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ইসির যুগ্ম সচিব ও এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক মো. আবদুল বাতেন বলেন, পদ সৃষ্টি হয়ে গেছে। এখন নিয়োগের পালা। এনআইডি কার্যক্রম একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। মাঠপর্যায়ে একজন কর্মকর্তা দিয়ে এটি তুলে আনা প্রকৃত পক্ষেই দুরূহ কাজ। নিয়োগ হয়ে গেলে আর সমস্যা থাকবে না। মানুষের সেবা পাওয়ার সুযোগ আরো বাড়বে।
ইসূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ৪৯২টি উপজেলা রয়েছে। আর প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে একটি করে নির্বাচন কার্যালয়। আর রাজধানী ঢাকায় রয়েছে ইসির ১৫টি থানা নির্বাচন কার্যালয়। সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক উপজেলা/থানায় সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে নিয়োগের কার্যক্রম নিয়েছে সংস্থাটি। যারা মূলত এনআইডি সংক্রান্ত কাজগুলো দেখভাল করবেন।