বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সোমবার দেশের প্রায় সব জেলায়ই বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণেরও খবর মিলেছে। লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে দেওয়া ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূলীয় ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গসহ তত্সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুও বাংলাদেশের ওপর বেশ সক্রিয়। ফলে আজও দেশের খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণও হতে পারে। অন্যদিকে রংপুর, ঢাকা ও রাজশাহী অঞ্চলের অনেক জায়গায় আজ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গতকাল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ৬০ মিলিমিটার ও বরিশালে ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠায় উজানে ভারি বর্ষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চলের ধরলা, তিস্তা, বহ্মপুত্র, যমুনা নদীর পানি বাড়ার প্রবণতা রয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধরলা-তিস্তার পানি বাড়তে পারে।
এদিকে বরিশাল থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত রবিবার রাত থেকে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। এদিকে লঘুচাপের কারণে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ বৃষ্টির আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. রুবেল জানান, রবিবার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশালে ৫৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।