সানাউল্লাহ, দোহা(কাতার)প্রতিনিধি:

কাতার সেনাবাহিনীর মেডিকেল সেবা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আসআদ খলিল
কাতার করোনার ওষুধ পেয়েছে এবং করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সেগুলোর কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

এই ওষুধের আবিষ্কারক দেশ জাপান। তবে জাপানের পর কাতারই প্রথম দেশ হিসেবে এই ওষুধ পেয়েছে।

প্রাথমিকভাবে কাতার এক লাখ পিছ এই ওষুধ জাপানের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এবং কাতারে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় তা ব্যবহার করা হয়।

এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে কাতারে অনেক করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর ফলে প্রায় দেড় হাজারের বেশি করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু ব্যক্তির অবস্থার পরিবর্তন হয় এবং তাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউতে নিতে হয়নি।

এসব তথ্য জানিয়েছেন কাতার সেনাবাহিনীর মেডিকেল সেবা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আসআদ খলিল।

কাতারের একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এই তথ্য জানান।

ব্রিগেডিয়ার আসআদ আরও জানান, সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিমের হাতে এক লাখ পিছ ওষুধ আসার পর সেখান থেকে ৮০ হাজার পিছ হামাদ মেডিকেলকে দেওয়া হয়।

কাতারে করোনায় আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে তিনটি হাসপাতাল সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে।

এসব হাসপাতালে জাপানের কাছ থেকে পাওয়া ওষুধের পাশাপাশি প্লাজমা দিয়েও করোনার চিকিৎসা করা হয়েছে।

তবে এই কর্মকর্তা আরও জানান, জাপান এই ওষুধটি আবিষ্কারের পর দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে বাস্তবতা ও এর সক্ষমতা পরীক্ষার দিকে বেশি জোর দিয়েছে। সেজন্য এটির আন্তর্জাতিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।