রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডারসেক্রেটারি ডেভিড হেইলের ফোনালাপের পর পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মরগান ওরটাগাস এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। মুখপাত্র বলেন, রাজনীতিবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে কথা বলে আগামী নভেম্বর মাসে একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন এবং বার্মায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মুখপাত্র আরো বলেন, আন্ডারসেক্রেটারি হেইল মিয়ানমার সরকারকে দেশজুড়ে সংঘাত বন্ধ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য শরণার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, সম্মানজনক ও টেকসই ফেরার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য চাপ দিয়েছেন।
এ মাসের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন বিগানের বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পায়। স্টিফেন বিগান বাংলাদেশের মন্ত্রীদের বলেছেন, মিয়ানমারের নির্বাচনের পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দেবে।
গত ২২ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বিগান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সব পক্ষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাজ করার ব্যাপারে আমি আমার বাংলাদেশ সফরে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। আমরা জানি যে এসব পরিবেশ সৃষ্টির প্রাথমিক দায়িত্ব মিয়ানমারের আর আমরা নেপিডোতে সরকারের কাছে এ ব্যাপারে দাবি জানাই।’