বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে দুষ্কৃতিকারীরা গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো নাশকতা চালায়। সরকারের কিছু এজেন্ট থাকে যারা স্যাবটাজ করে ভালো আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে গাড়ি পুড়িয়ে নাশকতার সৃষ্টি করে। আমরা এমন নাশকতার তীব্র নিন্দা জানাই।
আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের এজেন্ট আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে গাড়ি পুড়িয়েছে। প্রথমে এক-এগারোর সরকারের লক্ষ্য ছিলো মাইনাস টু। পরবর্তীতে তারা মাইনাস ওয়ান বাস্তবায়ন করেন। আর তাদের এ কাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সে সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে এক-এগারোর সরকারের সকল কাজের বৈধতা দেবেন। সেজন্যই ক্ষমতায় এসেই তিনি বিএনপিকে নির্মূল করতে থাকেন।
‘বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য বড় অন্তরায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি নয়। তারাই দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বাকশাল গঠন করে তারাই এ দেশের গণতন্ত্রের কবর দিয়েছিলেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ বিভিন্ন আইন করেছেন তারা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বর্তমানে পলিটিক্যাল এজেন্ডা একটাই- প্রকৃত জনগণের সরকার, সংসদ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া কোনোভাবেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চাই।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মঈনুল আহসানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ। এতে মির্জা ফখরুলের জীবনী পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
