মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট।।
বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার২নং আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের বর্গা চাষীরা।
ইটের ব্যবসা বাদ দিয়ে কৃষকদের নিকটজমি লিজ দিয়ে দেন হবিগঞ্জের জমির মালিক নাসির মিয়া। প্রতি ৩৬ শতকে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা বাৎসরিক হারে
লিজ নিয়া তাতেই সবজি চাষ শুরু করেন ওই গ্রামের কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অল্প পরিমাণ জমি চাষ করে অনেক ফসল তুলেছেন এবং চলতি বছরে সবজির বাজার দর ভালো হওয়ায় অনেক বেশি লাভবান হয়েছেন তারা।
গঙ্গানগর গ্রামের কৃষক মৃত আব্দুল লতিফ এর পুত্র শফিক মিয়া জানান, তিনি মাত্র উনিশ শতক জমিতে বেগুন চাষ করে ফসলের মাঝামাঝি সময়ে লক্ষ টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন। তার বিপরীতে উনার খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। চাষাবাদে উনার কোন বাড়তি শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়নি। উনার সন্তানাদি নিয়েই উনি চাষাবাদের কাজ করে থাকেন।
তিনি জানান গত ১০ বছর ধরে তিনি সবজি চাষ করেই সংসারের যাবতীয় খরচ বহন করার পরও ওনার সঞ্চয় থাকে।
অপরদিকে গঙ্গানগর গ্রামে ৪২ শতক জমিতে বেগুন চাষ করে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছেন উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আলী রহমান।
তিনি জানান দশ হাজার ৫৭০ টাকা দিয়ে ৭২ শতক জমি লিজ নিয়েছেন এক বছরের জন্য।
নিজের কোন লোক না থাকায় কামলা দিয়ে চাষ করার কারণে
উনার খরচ হয়েছে
৫৫ হাজার টাকা,তার অনুমান আরো ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি হবে।
পাশাপাশি আলুর ফলন উনার ভালো হয়েছে।
২০-২৫ দিনের মধ্যেই উনি আলো বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
গঙ্গানগর গ্রামের খোয়াই নদীর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায় বেশকিছু ফসলের চাষ হয়েছে সেখানে। এরমধ্যে টমেটো আলু মোলা ফুলকপি সিম মরিচ মুগ ডাল হলদি সহ আরো বেশ কয়েক জাতের তরিতরকারি। ওই গ্রামের সবজি চাষ আবাদের জমির পরিমাণ আনুমানিক ১৫ পনের একর হবে।
এখানকার সকল কৃষকরাই বিগত ১০ বছর যাবত সবজি চাষে লাভবান বলে জানান কৃষকরা। ১৫ পনের একর জমি এক সনা বন্দোবস্হ নিয়ে,প্রায় ২০/২৫জন কৃষক ভিবিন্ন জাতের ফসলাদীর চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হচ্চে কৃষকরা এ
বিষয়ে আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৌরভ কবীর জানান, ওই গ্রামের কৃষি উনাকে মুগ্ধ করেছে
তিনি সব সময় তাদের শলা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।