দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার পানি কিছুটা কমলেও প্রধান নদীগুলোর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্গত এলাকার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহী নানা রোগে। খাবার সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
জামালপুরে ৬২টি ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে পানিবন্দী রয়েছেন অনেক মানুষ। ঘর-বাড়ি থেকে পানি না নামায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা।
বন্যায় জেলার ২৫ হাজার ৯শ’ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। বন্ধ আছে জামালপুর-শেরপুর সড়ক যোগাযোগ।
চারটি উপজেলায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ আছে। বন্ধ রয়েছে ১১শ’ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার পানি কমতে শুরু করেছে।
তবে করতোয়া ও বাঙালি নদীতে পানি বাড়তে থাকায়, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাসহ ৮ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে পানিবন্দী রয়েছে ৫ লাখের বেশি মানুষ। গেল তিনদিনে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি।