চুয়াডাঙ্গায় আজ সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি শীত মৌসুমে এটি চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র এই শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ জানান, সোমবার সকাল ৯টার সময় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জনজীবন।
প্রচণ্ড শীতের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। সাধারণ মানুষকে শীতের কারণে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে কাজের আশায় শহরে এসে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেককে। সারাদিন বসে থেকেও মিলছে না কোনো কাজ। যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কয়েকদিন ধরে চলা শীতের প্রকোপে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে রোগীর সংখাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃদ্ধি পাওয়া রোগীদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন শীতের প্রকোপ বাড়ার কারণেই শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গিয়ে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন।