মাসুদ রানা:
বাংলাদেশের রাজধানী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত শাহবাগ সেই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অবস্থিত শাহবাগ থানা ।এই শাহবাগ থানার আওতাধীন রয়েছে দেশের গুরুত্বপূন্য স্থাপনা যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকল,ঢাকা মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সহ আরো অনেক গুরুত্বপূন্য স্থাপনা। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে থানার পিছনে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা পরিত্যক্ত অনাবাদী জমিতে সবজি চাষ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শরীয়তপুরের কৃতি সন্তান বর্তমান শাহবাগ থানায় কর্তব্যরত সুদক্ষ কর্মঠো মেধাবী সৎ অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ (পিপিএম)গত বছরে শেষের দিকে ২ সেপ্টেম্বর,২০ শাহবাগ থানায় করোনা কালীন যোগদানের সময় দেশে তখন করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের মানুষকে নির্দেশনা দেন অনাবাদি জমিকে চাষাবাদের জন্য। সেই করোনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ তার ব্যক্তি উদ্যোগ দেন থানার পরিত্যক্ত জায়গায় চাষাবাদের। ওসি মামুন অর রশিদ (পিপিএম)চাষাবাদের জন্য বেছে নেন তার থানা পিছনের দীর্ঘসময় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত একটি জমিকে। পরে উদ্যোগ নিয়ে লতাপাতায় ভরা জমিটি পরিষ্কার করান তিনি। নিজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শুরু করে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ। প্রথমে কয়েক দফা বীজ বপন করা হলেও অতিবৃষ্টিসহ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ফসল পাননি তিনি। কিন্তু হাল না ছেড়ে চেষ্টা চালিয়ে যান। বর্তমানে ওই পরিত্যক্ত জমি শাক-সবজিতে ভরপুর।এসব শাকসবজি দিয়ে ওসি তার পরিবারের পাশাপাশি থানার অনেক কর্মরত পুলিশ সদস্যদের চাহিদা মিটাচ্ছেন। পাশাপাশি দিচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ স্থানীয়দের।
অন্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ওসি নিজেও ক্ষেত পরিচর্যা করছেন নিয়মিত। আর এসব সবজি উৎপাদিত হচ্ছে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত উপায়ে। ওই পরিত্যক্ত জমিতে লাউ, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, পালংশাক, লালশাক, পেঁয়াজ, মরিচ,টমেটো,গাজর, শালগম, মুলা, ধনেপাতাসহ ১০ ধরনের শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। ওই মাঠে ফসলের পরিচর্যা করছেন ওসি মামুন অর রশিদ নিজেই ।ফসলের মাঠের বিভিন্ন দিকে লাগানো হয়েছে ফলের গাছও।পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকে। ওসি মামুন অর রশিদ (পিপিএম)বলেন,প্রধানমন্ত্রী করোনাকালীন সময়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো জায়গা পরিত্যক্ত থাকতে পারবে না। এরপর চিন্তা করলাম, আমার কিছু করা দরকার।
সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমে ওই জমি থেকে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে লতাপাতা-জঙ্গল পরিষ্কার করেছি। এরপর শুরু করি চাষাবাদ। প্রথমে ফলন না হলেও এখন শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আমার পরিবার ও আমার থানার পুলিশ সদস্যরা এখন বিষমুক্ত শাকসবজি খেতে পারছেন। পাশাপাশি থানায় আসা অনেক উপরস্ত অফিসার্সবৃন্দ এখান থেকে সবজি নিচ্ছেন। আমি যতদিন এই থানায় কর্তব্যরত থাকবো এ চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে।