জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটিকে রাজনীতির অমরকাব্য হিসেবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেছেন, সেই ভাষণটিই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। ভাষণে সুস্পষ্টভাবে বাঙালি জাতির মহান নেতা স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন, বলেছেন মুক্তির কথা। কালজয়ী ভাষণটি তাই পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি ভাষণ হয়ে থাকবে।
রবিবার (০৭ মার্চ) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ ক্লাব ইউএসএ’র আয়োজনে সেমিনারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী সৈয়দ আজিজুর রহমান তারিফ, লেখক ও সাংবাদিক শামীম আল আমিন এবং অ্যাক্টিভিস্ট রাজিব আহসান। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকি এবং মো: আব্দুল হামিদ। লেখক ও নাট্যকার তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন মো: মাহফুজুল হক এবং শিবলী সাদিক। পরে একটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঐতিহাসিক ভাষণেরও সূবর্ণ জয়ন্তী। জাতীয় জীবনে এবারের বছরটি তাই ভিন্ন একটি তাৎপর্য বয়ে এনেছে। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ভাষণটিকে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ বছর জাতিসংঘের সবগুলো দাপ্তরিক ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রকাশিত হয়েছে।
বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে এভাবেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কাজকে সঠিকভাবে তুলে ধরারও তাগিদ দেন তারা।