ভূমধ্যসাগরে চলতি বছরের ভয়াবহতম নৌকাডুবির ঘটনার একদিন পর লিবিয়ার উপকূল থেকে অন্তত ৬২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে লিবিয়ার রাজধানীর পূর্বাঞ্চলে খোমস বন্দর নগরীর কাছে অভিবাসন প্রত্যাশী অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর প্রায় ১৪৫ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড দল।
লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মোনেইম আবু সেবেই জানান, উদ্ধারকর্মীরা বৃহস্পতিরার বিকেল থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
আব্দুল মোনেইম আবু সেবেই বলেন, ‘সাগরে এখনও মৃতদেহ ভেসে বেড়াচ্ছে। এ কারণে নৌকাডুবিতে কত জন প্রাণ হারিয়েছে তার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।’
নৌকাডুবির পর অন্তত ১৪৫ জন শরণার্থীকে জীবিত উদ্ধার করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও জেলেরা।
দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে যাত্রা শুরু করেছিল ডুবে যাওয়া নৌকাটি।
লিবিয়ায় চলমান যুদ্ধাবস্থা থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়ার সময় এর আগেও ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন বহু মানুষ। এ বছর এখন পর্যন্ত এটিই ভূমধ্যসাগরে অভিবাসী নৌকাডুবিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘এ বছরের সবচেয়ে খারাপ ভূমধ্যসাগর ট্র্যাজেডি ঘটে গেল।’
ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোকে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি লিবিয়ার অভিবাসী বন্দিশালাগুলো বন্ধ করার আকুতি জানান জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।