করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জয়ী হওয়ার উপায়

মোঃ মাসুম

বর্তমানে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শীতের শেষে এবং গরমের শুরুতে দাঁড়িয়ে আছি। এই সময়টা সাধারণ ফ্লু (ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, পাতলা পায়খানা) এর জন্য উপযুক্ত সময়। আমরা সেই ছোটকাল থেকে সিজন পরিবর্তনের এই সাধারণ ফ্লু`কে দেখে আসছি।

করোনা রোগটি মূলত সিজন পরিবর্তনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। গত বছর ও সিজন পরিবর্তনের সময় করোনার কিছুটা প্রকোপ দেখা দিয়েছিলো, এবারও একই অবস্থা।

করোনার সাথে ভ্যাক্সিন ব্যবসা প্রতক্ষভাবে জড়িত। অ্যাস্ট্রজেন, ফাইজার, মর্ডানা এবং জনসন এন্ড জনসনের মতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো বাজারে কোভিডের টিকা নিয়ে এসেছে। তাদের টার্গেট ব্যবসা না হওয়া পর্যন্ত তাদের দালাল বিভিন্ন দেশের সরকার এবং মিডিয়া আমাদের মাঝে ভয়ের পরিদর্শন করে যাবে। সেই সাথে দরকার পড়লে লকডাউনের মতো ঘৃণ্য কাজও করবে। মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চয় করে টিকার ব্যবসা রমরমা করবে।

বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় বিশ কোটি। সিজন পরিবর্তনের সময় এই বিশ কোটি জনসংখ্যার মধ্য থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ সাধারণ ফ্লু`তে আক্রান্ত হবেন এটাই তো স্বাভাবিক।

বাংলাদেশে প্রতিদিন সাধারণ মৃত্যুর সংখ্যা ২৫০৫ জন। সেখানে দালাল মিডিয়া কোভিডে ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষ কোভিডে মারা গেলেই আমাদের মধ্যে একটা ভয় এবং আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছে। সবথেকে বড় ব্যাপার কোভিডে মৃত প্রত্যেক ব্যাক্তি পূর্ব থেকে কোন না কোন জটিল রোগে (কিডনি, হার্ট, ফুসফুস, উচ্চ ডায়বেটিস, অনিয়ন্ত্রিত হাইপ্রেশার এবং বার্ধক্যজনিত) আক্রান্ত ছিলো।

মাস্ক পরিধান করুন। ঢাকা শহর বা বাংলাদেশের বাতাসে প্রচুর ধুলাবালি। মাস্ক পরিধান করলে আপনার ফুসফুস নিরাপদ থাকবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাহলে এমনিতেই পাঁচবার হাত ধোঁয়া হয়ে যাবে। এছাড়াও দুই হাত ভালো করে স্যানিটাইজ করুন তাহলে পেটের রোগ কম হবে।

মৃত্যু কে নিয়ে চিন্তা করবেন না, চিন্তা যদি করতেই হয় তাহলে মৃত্যুর পরে কবরের জীবন নিয়ে চিন্তা করেন।

সুস্থ থাকেন, সচেতন থাকেন, আল্লাহ শুভানুতালার উপর ভরসা রাখুন উপরে বিশ্বাস রাখুন, কবরের কথা বেশি বেশি ভাবুন।