মোঃ আব্দুল হান্নান, ক্রাইম রিপোর্টার, সিলেট
কৃষি কার্ডনা থাকায় সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চুনারুঘাট উপজেলার আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের প্রকৃত কৃষকরা খাদ্যের চাহিদা মেটাতে রাত দিন পরিশ্রম করেও কৃষক হিসাবে অবহেলিত তারা, একর ,একর জমি চাষ করে ও সরকারি কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিতে পারছেন না তারা, কার্ড নেই বলে। জমি চাষ করে, না করে কৃষকদের জন্য সরকারি বরাদ্দের সকল সুবিধা নিচ্ছেন কৃষি কার্ড ধারীরা। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার মাঝে অনেক কৃষকদের উৎসাহ হারানোর কথাও উঠে আসে। সরে জমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, অত্র ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের মৃত জাফরুল্লাহর পত্র মিম্বর আলী, মৃত আনফর উল্লার পুত্র, কনা মিয়া,। কালা মন্ডল গ্রামের মৃত কেরামত সর্দারের পুত্র মোহাম্মদ আব্দুজ জাহির। মৃত আব্দুল মতিন এর পুত্র কামাল মিয়া। ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশিম লস্কর এর পুত্র মোঃ আব্দুল মান্নান। মৃত আব্দুস সুবহানের পুত্র আব্দুল বারিক। মৃত আব্দুল সাত্তার এর পুত্র মোহাম্মদ ভিংরাজ মিয়া। গোছা পাড়া গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলাম এর পুত্র মোহাম্মদ বাছির মিয়া। বনগাও গ্রামের মৃত জহুর হোসেনের পুত্র মোঃ হিরণ মিয়া। ওরা সারাবছর চাষাবাদ করে থাকেন, এবং সম্পূর্ণ কৃষি নির্ভরশীল। উৎপাদিত কৃষি সবজি বিক্রি করে পরিবারের অন্যান্য চাহিদা পূরণ করে। অনাবৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টির কারণে তাদের ফসলাদীর ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হলেও, সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাননি কৃষি কার্ড নেই বলে। আবার একই ধরনের কিছু কৃষক রয়েছেন, যারা একর, একর, জমি চাষ করেন, তাদের নামে কৃষী কার্ড রয়েছে, কিন্তু সচেতনতার অভাবে, তারাও বঞ্চিত হয়ে যান। ফলে তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন কৃষি কার্ড ধারী কিছু ও কৃষক, যাদের অনেকেরই চাষের জমিজমা ও নেই, বর্গাচাষ ও করেনা, কেবল মাত্র কৃষি কার্ডের সুবিধা দিয়েই, তাদের নাম চলে যায় কৃষকের জন্য সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার তালিকায়। গত ০৯/০৫/২০২১ইং তারিখে বুরো ধান উৎপাদনকারী ও বিক্রয় আগ্রহী কৃষক তালিকায় আহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের ৩৯জন কৃষকের মধ্যে ২০ জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, ০৯ জন ই বুরো চাষ করেননি বলে জানা যায়। ওই তালিকার ২৩ নাম্বার গঙ্গানগর গ্রামের মুছিম উল্লার পত্র, কাশেম আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি, বলেন, অসুস্থতার কারণে জান বাঁচানো নিয়ে ব্যস্ত বুরো ধান করবেন কোন সময়। একই গ্রামের শানু মিয়ার পত্র সুরুজ আলী, যার নাম রয়েছে তালিকার ২০ নাম্বারে। এই গ্রামের সুরুজ আলী কয়েক বছর যাবত ঢাকায় চাকরি করেন,, তার পুত্র প্রবাসে রয়েছেন। ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র, ফয়সাল আহম্মেদ যার নাম তালিকায় ২৪ নাম্বারে রয়েছে। তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে বলেন, তিনি এলাকার বাহিরে চাকুরীতে রয়েছেন, তার কৃষি কার্ড টি নেতার কাছে আছে। কালা মন্ডল গ্রামের মৃত ইমান আলীর পুত্র, মোঃ মফিজ মিয়া, যার নাম তালিকায়২৪ নাম্বারে রয়েছে, তিনি আমরুট বাজার এর সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী, তিনি কোথায় চাষাবাদ করেন বলে এলাকাবাসী জানেনা। গোছা পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুন নূর এর পুত্র, আব্দুল জলিল তালুকদার, যার নাম তালিকার ৩১ নাম্বারে রয়েছে, বুরো মৌসুমে তার জমিজমা পতিত অবস্থায় দেখা গেছে।গোছাপাড়া গ্রামের আকবর আলীর কৃষী কার্ডটি ও কোন নেতার কাছে গচ্চিত আছে। হাড়জোরা গ্রামের,আঃ রজাক এর পুএ, আঃমন্নান প্রায়১০ একর জমি চাষাবাদ করে, কৃষী কার্ড ও আছে, ঐ কার্ডটিও নাকি কোন নেতার কাছে গচ্ছিত আছে। এ সবের সটিক তদন্ত করলে সত্যটা বেড়ীয়ে আসবে। কালিশিরী গ্রামের মৃত আমির হোসেনের পুত্র, আব্দুল মতিন। ওই গ্রামের কনা মিয়ার পুত্র সিদ্দিক মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র, আইনুল হক।ঐ তালিকায় ওই তিন ব্যক্তি কে বুরো চাষ করতে দেখা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালা মন্ডল গ্রামের, মৃত আবদুল মতিনের পুত্র, মোঃ কামাল মিয়া, মৃত কেরামত সর্দারের পুত্র আব্দুল জাহির উভয়ই ১০ বিঘার উপরে বুরো চাষ করেছেন, তাদের মজুদে প্রায় শতাধিক মন বুরো দান রয়েছে, কিন্তু তাদের নাম ওই তালিকায় নেই। ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদ মিয়া জানান তার ওয়ার্ডে কার্ড ছাড়া অনেক কৃষক রয়েছেন, একজন প্রকৃত কৃষক হয়েও উনার নামে কোন কৃষি কার্ড নাই। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৌরভ কবির জানান জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া নাম তালিকা অনুযায়ী সরকারি বরাদ্দ কৃষি সুবিধা প্রদান করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জু চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে মিটিং করে কৃষক যাচাই-বাছাই এর দায়িত্বে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তা কে দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা ভোটের কথা ভাববেন, কৃষি অফিসার উপসহকারী তিনি প্রকৃত কৃষকের কথা ভাববেন। এলাকার সচেতন মহলের দাবি কৃষকদের জন্য সরকারের দেওয়া সকল সুযোগ সুবিধা ভালোভাবে যাচাই-বাছাই পূর্বক প্রকৃত কৃষকদের,নামে কৃষীকার্ড প্রধান করা, কৃষির সাথে সম্পৃক্ত নন এমন কার্ডধারী লোকদের কার্ড বাতিল করে, পকৃত কৃষকদের,নামে কৃষি কার্ড দেওয়া।