এ যেন মগের মুল্লুক, কোনো ধরণের সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই, মাস্তান ভাড়া করে এনে জনবল নিয়োগের ব্যাপক অনিময় করার অভিযোগ উঠেছে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকল্প পরিচালক শিখা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্প – (২য় পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক শিখা চক্রবর্তী বিএনপিপন্থী এক ব্যবসায়ীকে জনবল নিয়োগের কাজটি দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন।
সরকারি ক্রয় নীতিমালার নিয়ম নীতি তো দূরের কথা, দরপত্রে অংশ নেয়া যোগ্যতা সম্পন্ন ৯ টি কোম্পানির মধ্যে শুধু একটি কোম্পানিকে কাজ দেয়ার জন্য মাস্তান ভাড়া করে এনে হুমকিও দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্প – ২য় পর্যায় প্রকল্পের জনবল নিয়োগ আউটসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ।
সেখান থেকে ৯ টি কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে জনবল নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ঘোষণাও করা হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলোর মধ্যে শুধু মাত্র মন্ডল ট্রেডার্স লিমিটেডকে কাজটি দেয়ার জন্য নানা ধরণের ফন্দি আঁটতে শুরু করেন শিখা চক্রবর্তী ও তার সিন্ডিকেটের লোকজন। কিন্তু দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী জনবল সরবরাহের জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উপযুক্ত ৯ টি কোম্পানির জনবলের সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার নিয়মের কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না। এমনকি ৯ টি কোম্পানির জনবলের পরীক্ষা নেয়া বাধ্যতামূলকও করা হয়েছে ২০.৪০ এবং ২৫.৫ ধারাতে।
কিন্তু সেই নিয়ম মানা হয়নি। উপরন্তু, গত ২৪ আগস্ট হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্প – (২য় পর্যায়) এর প্রকল্প পরিচালক শিখা চক্রবর্তী মন্ডল ট্রের্ডাস লিমিটেডের সরবরাহকৃত জনবলের সাক্ষাতকার নেয়া শুরু করে দিলে বাকি ৮ টি কোম্পানির লোকজন এ বিষয়ে অভিযোগ করতে গেলে, শিখা চক্রবর্তীর নির্দেশে বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী মন্ডল ট্রের্ডাসের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ মন্ডল এবং শিখা চক্রবর্তীর ভাড়াটে মাস্তান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে চাকরি করেন এমন মিথ্যা পরিচয় দেয়া কবি শংকর, আগ্নেয়াস্ত্র পরিদর্শন করে ভয়ভীতি দেখান এবং অন্য কোম্পানিগুলো যেন এ কাজে বাধা না দেন, দিলে মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করা হয়।