বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭ নভেম্বরের চেতনা হচ্ছে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা। স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। আজ রবিবার (৭ নভেম্বর) বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ’৭৫ এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সংহত করেছিল। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়। দেশবাসীর জাগরিত দৈশিক চেতনায় পরাজিত হয় আধিপত্যকামী শক্তির অশুভ ইচ্ছা।
তিনি বলেন, এই দিনে স্বাধীনতার চেতনায় আধিপত্যবাদী শক্তির নীল নকশা প্রতিহত করে এ দেশের বীর সৈনিক ও জনতা। সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণ নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠে। ৭ নভেম্বর বিপ্লবের সফলতার সিঁড়ি বেয়েই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ পেয়েছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের শাসন, বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিল। দেশ, জনগণ, স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনাবিরোধী সুগভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। এ বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি পেয়েছিল এক যোগ্য নেতৃত্ব জিয়াউর রহমানকে, যিনি ’৭১ এ জাতির চরম ক্রান্তিলগ্নে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ’৭৫ সালে আমরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় আবার সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে মানুষের জীবন-জীবিকা গভীর সংকটাপন্ন, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। নিত্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। দেশে এখন এক ভয়ানক দুঃসময় বিদ্যমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকারের চরম প্রতিহিংসার শিকার দেশনেত্রীকে বন্দী রেখে দেশকে আবারো স্বাধীনতার অব্যবহিত পরের পরিস্থিতির মুখোমুখি করতে যে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, তা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে।