গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে এমন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানো আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। এসময় তিনি রাজনীতিকদের সংঘাত ভুলে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোরও পরামর্শ দেন।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বিকালে জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে, স্মারক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, জাতির বীর ও সাহসী সূর্যসন্তানরা লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব এই দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এই মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আমি আজ দলমত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং যেকোনো উগ্রবাদ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড হতে দূরে থেকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে শামিল হই। গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে তোলে, এমন যেকোনো অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এসময় তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ। সংসদের ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই বিশেষ অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়তোবা সংসদে বিল আকারে উপস্থাপিত আইনের পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের জন্য বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং নীতি-আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো ভিন্নতা থাকতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে, গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আইন প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।