বিশেষ প্রতিনিধি:

ইউসেপের ঢাকা অঞ্চলের শিক্ষকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ইউনিসেপের অর্থায়নে পরিচালিত অল্টারনেটিভ লার্নিং প্রোগ্রাম প্রকল্পের কোর্স শেষে কোর্স সমাপনীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল ইউসেপ বাংলাদেশ ঢাকা উত্তর অঞ্চল তাদের মিরপুরস্থ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ সনদ বিরতণ করে। কর্মশালায় ইউসেপ ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১০০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ইউসেপ বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষাব্যবস্থা ও পরিচালনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন মোহাম্মদপুর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ, পল্লবী থানার ফারজানা শারমিন, মিরপুর থানার আব্দুল কাদের ফকির, লালবাগ থানার নাসরিন সুলতানা, বাড্ডা থানার আব্দুল হাকিম ও রমনা থানার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউসেপ ঢাকা উত্তর অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো: আনোয়ারুল ইসলাম। ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মো: আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ও ইনোভেশন পরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আব্দুল মজিদ কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এ ধরনের কর্মশালা শিক্ষকদের কর্মস্পৃহা ও শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রমে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির দক্ষতার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

ড. আবদুল করিম বলেন, ইউসেপের সব শিক্ষকের সরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। এর ফলে পাঠদানের ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা, তেমনি সর্বোচ্চ ফল আশা করা যাবে। গুগলের তথ্য মতে, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কারিগরি প্রতিষ্ঠান হলো ইউসেপ বাংলাদেশ। ইউসেপে প্রায় ৪২টি অকুপেশনে প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষকদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতায় স্কুলগুলো সন্তোষজনকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তাই তিনি স্কুলগুলো এমপিওভুক্তির প্রস্তাব রাখেন।

ড. আবদুল করিম আরও বলেন, জাপানকে কেন্দ্র করে ৯ মাস মেয়াদি কেয়ার গিভিং কোর্স দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে জাপানিজ ভাষা, সংস্কৃতি, ড্রাইভিং ও রান্না শেখানো হচ্ছে। অল্টারনেটিভ লার্নিং প্রোগ্রাম প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পূর্ণ লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়া নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপার্জনক্ষম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান তিনি। উক্ত অনুষ্ঠানে ১০০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।