রংপুর সদর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শেষ হয়েছে। প্রার্থীরা বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত এবং বৃজস্পতিবার সকালেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শেষ সময়ের জনসংযোগ ও প্রচারণা চালিয়েছেন।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনের দিন (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ এবং বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।শেষ সময়ে জাতীয় পার্টির রাহগীর আল মাহী ওরফে সাদ এরশাদ, বিএনপির রিটা রহমান ও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার ওরফে আসিফ (আসিফ শাহরিয়ার) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে তাদের প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। তিন প্রার্থীই জয়লাভের বিষয়ে আশাবাদের কথা জানান।
বুধবার রাতে জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে দলীয় কর্মীসভায় জাপা প্রার্থী সাদ এরশাদকে জয়ী করার আহ্বান জানান। কর্মী সভায় মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাও বক্তব্য রাখেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম শাহাতাব উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নগরীসহ নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল ও মোটরযান চলাচল বন্ধ এবং বহিরাগতদের নির্বাচনি এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী এলাকার ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে প্রশিক্ষণ (মক) ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ভোটাররা তাদের নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট দেয়ার মহড়া দিয়েছেন। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসাররা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি ভোটারদের দেখিয়ে দেন।
রংপুর সদর-৩ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৪১ হাজার ২২৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ২০ হাজার ৮২৩ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ২০ হাজার ৪০১ জন। নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী।