ভারত সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার দুপুরে ভারতের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউসে এ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুদেশের মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পানিসম্পদ বিষয়ে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে বাংলাদেশের তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনকৃত প্রকল্প তিনটির মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি রপ্তানি প্রকল্প, বাংলাদেশ-ভারত প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিআইপিএসডি) ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকায় বিবেকানন্দ ভবন রয়েছে।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউসে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। পরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন এই দুই সরকার প্রধান। বৈঠকে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেন শেখ হাসিনা-মোদি। এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।
এ ছাড়া সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, সন্ত্রাস দমন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, গঙ্গা ও তিস্তার পানিবন্টন ছাড়াও সাতটি অভিন্ন নদীর পানি বন্টনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ সময় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুদেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে অমিমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসে।
এর আগে সকালে হোটেল তাজে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে অংশ নেওয়ায় ভারত সরকারের পক্ষে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান জয়শঙ্কর।
দুদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নাগরিক তালিকা হালনাগাদ করা নিয়ে ভারতে চলমান বর্তমান সংকটের কারণে দুদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন এস জয়শঙ্কর।