সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশে ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। গত শুক্রবার ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরপরই পেঁয়াজ রপ্তানির এ ঘোষণা দেয় ভারত। গতকাল শনিবার নয়াদিল্লি থেকে ইত্তেফাক প্রতিনিধি অঞ্জন রায় চৌধুরী এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান।
ভারতের সরকারি ঊর্ধ্বতন সূত্র ইত্তেফাককে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান চাহিদা মেটানোর জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের আগে বাংলাদেশকে আগেই অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানান।
ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের আগেই অবহিত করলে আমরা অন্য জায়গা থেকে পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করতাম। উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর দেশের বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় পৌঁছে যায়। এতে বিপাকে পড়ে স্বল্প আয়ের মানুষ।
তবে সরকারের নানা উদ্যোগে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আসছে মিশর ও তুরস্ক থেকেও। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুব শিগগির পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানায়, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় অপেক্ষমাণ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এই পেঁয়াজ আসার পর দাম আরো কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার আগে ঘোজাডাঙ্গায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।
ঝিনাইদহ থেকে ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানান, দেশের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজের হাট ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ১২০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর কেজি প্রতি ২৫ টাকা কমেছে।