সবজির বাজার চড়া, বেড়েছে আলুর দাম

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দামের চাপে প্রতিদিনই ক্রেতাদের অস্বস্তি বাড়ছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। মাত্র কয়েকদিন আগেই পেঁয়াজের দাম আবারও শতক অতিক্রম করেছে। এবার বাড়ল আলুর দাম। এখনো নাগালের বাইরে প্রায় সব ধরনের সবজি ও মাছ। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।

বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ফুরিয়ে গেছে এবং অন্যান্য আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহও কম- এমন ধুয়া তুলে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নিত্যপণ্যটির দাম। বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। এরই মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দামও কেজিতে বেড়েছে গড়ে চার টাকা। বাজারভেদে প্রতি কেজি গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৪ টাকা পর্যন্ত, সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। আর বাজারে আগাম আসা নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে।

মালিবাগ বাজারের আয়শা বাণিজ্যালয়ের আলু ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘পাইকারি বাজারে এক সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল ১৫ টাকা কেজি আর এখন বিক্রি করছি ১৮ টাকা দরে। মূলত মজুদ শেষ হয়ে আসায় সরবরাহ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব দামেও পড়ছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে নতুন আলুতে ভরে যাবে বাজার। তখন দাম কমবে।’

আগাম শীতের সবজির পাশাপাশি করলা, বরবটি, বেগুন, চিচিঙ্গা, ঝিঙাসহ প্রায় সব সবজির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার ঊর্ধ্বে। পাশাপাশি পাকা টমেটো, গাজর ও শিমের দামও রয়েছে শতকের ঘরে। আগের সপ্তাহের মতোই পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ এবং গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। চড়া দামের তালিকায় আরও রয়েছে লাউ, করলা, বেগুন, বরবটি, পটোল, ঢেঁড়স, উসি, ঝিঙে ও ধুন্দুল। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি পিস। অন্যদিকে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে করলা, বরবটি, বেগুন, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, ধুন্দলের কেজি।

শিমের দাম অবশ্য ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে যা ছিল ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। কমেছে বাঁধা ও ফুলকপির দামও। ছোট আকারের একটি ফুলকপি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া বাঁধাকপি এখন ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বলেন, ‘শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। তাই দামও কিছুটা কমছে। আবহাওয়া খারাপ না হলে শিগগিরই প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমে যাবে।’

এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। রুই ২৪০ থেকে ৩৫০, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০, শিং ৪০০ থেকে ৬০০, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ ও পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি।