ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিবাহিত, মাদকাসক্ত, হত্যা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তদের বাদ দিতে শীর্ষ দুই নেতাকে তিন দিনের (৭২ ঘন্টা) আল্টিমেটাম দিয়েছে পদবঞ্চিতরা। সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে পদবঞ্চিতদের সাথে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য এক বৈঠকে বসলে সেখান থেকে এই আল্টিমেটাম আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে পদবঞ্চিত নেতা রানা হামিদ বলেন, আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে তারা এ ব্যাপারে অক্ষম। কারণ আমার মনে হচ্ছে তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তারা বারবার বলছে, আপা (শেখ হাসিনা) তাদের স্লোলি সব করতে বলেছে। তবুও আমরা তাদের তিনদিনের সময় দিয়েছি । এরমধ্যে যদি কোন পদক্ষেপ না নিতে পারে তাহলে আমরা ‘বিতর্কিতদের’ পার্টি অফিস, মধুর ক্যান্টিন এবং ছাত্রলীগের সকল প্রোগ্রাম থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবো। এক্ষেত্রে তাদের (শীর্ষ দুই নেতা) কিছু করার থাকবে না। কারণ আমরা অসাংগঠনিকভাবে কিছু করছি না।
তিনি আরও বলেন, সাংগঠনিভাবে তারা যতদিন প্রমাণিত না হয় যে, তারা (বির্তকিতরা) নির্দোষ ততদিন তারা প্রোগ্রামে আসবে না। আর এটার জন্য যদি কোন অনাকাঙ্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বই দায়ী থাকবে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য বলেন, আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছে তিনদিনের মধ্যে আপার সাথে কথা বলতে। আমরা বলেছি এটা সম্ভব না। আমরা যখন সময় পাব তখন কথা বলব। আর আমাদেরকে এরা সময় দেওয়ার কে ?
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর দলের একাংশ কমিটিতে বিতর্কিতদের পদ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে আন্দোলনে নামে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিতর্কিতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে শোভন-রাব্বানী নেতৃত্ব হারায়। ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্বে আসে জয়-লেখক। তবে তাদেরএ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা । ফলে ‘বিতর্কিতদের’ সাথে নিয়েই চলেছে ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি ।