চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা ৩৫ সহ চারদফা দাবিতে অহিংস আন্দোলনে পুলিশের বাধা, শিক্ষার্থীদের ১০ ঘন্টা আটক রাখা ও মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে এবং দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৩৫ প্রত্যাশীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ব্যানারে বুধবার বেলা ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মোজাম্মেল মিয়াজী।
সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল মিয়াজী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ চারদফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ অক্টোবর শাহবাগে একটি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের কর্মসূচি পালনের প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু, পুলিশ লাঠিচার্জ করে সেই কর্মসূচি পন্ড করে দেয় এবং সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করে। সেখানে অনেকেই আহত হন। আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু, আমাদের দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট থাকার কারণে অনেকেই চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার আগেই তাদের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবি জানিয়ে আসছি।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা, আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে রাখা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সকল নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের দাবির কথা উল্লেখ করে মোজাম্মেল মিয়াজী বলেন, আমাদের চারটি দাবিই যৌক্তিক। এ দাবিগুলো বাস্তবায়নে বিলম্ব কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি প্রধানমন্ত্রী দেশের ২৬ লাখ শিক্ষিত বেকারের কথা বিবেচনা করে আমাদের সাদরে গ্রহণ করবেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এস.এ সজীব আহমেদ, সুনিয়া চৌধুরী, আব্দুস সালাম, বাকী বিল্লাহ তুহিন, ফেরদৌস জিন্নাহ লেলিন, নাজিম উদ্দিন, শরিফ সৌরভ, উজ্জল সরকার, মোশারফ হোসেন, ইউসুফ আলী শাকিল, ইব্রাহিম খলিল, বেলাল হোসেন, রেশমা আক্তার, রাসেল খান, রিয়াদ, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।