বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তিনি দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন। জুয়াড়ির ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের তথ্য আইসিসিকে না জানানোয় দুই বছর জন্য নিষিদ্ধ হন সাকিব। ওই নিষেধাজ্ঞার চারদিন পর দুদক কার্যালয়ে আসলেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এ সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। কী কারণে তিনি দুদক কার্যালয়ে এসেছেন এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে দুদক সূত্রে জানা যায়, সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত। তাকে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার পরে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে রাখা হবে কি-না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য তাকে দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেও আকসুকে তদন্ত কাজে সহায়তা করায় সাকিবের শাস্তি এক বছর কমিয়ে আনা হয়। যার ফলে এক বছর শাস্তি ভোগ করেই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাকিব নিজ ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আমার সকল ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে, শুরুতেই আমি বলতে চাই আপনার নিঃশর্ত ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। বিশেষ করে গত কয়েকটা দিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন ছিল। এই কয়েকদিনে আমি আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আসলে কতটা গর্বের।’
‘এ বিষয়ে আমি আমার সকল সমর্থকদের বলবো ধৈর্য ধারণ করুন। বিশেষ করে যারা আমার ওপর আসা নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।’
‘আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট যে তদন্তটা করেছে, এটা পুরোপুরি গোপন ছিল এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানতে পেরেছে আমার কাছ থেকেই। আমাকে নিষিদ্ধ করার কয়েক দিন আগে। এরপর থেকে বিসিবি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এবং আমার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেছে। এ কারণে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
‘আমি বুঝতে পারছি কেন অনেক মানুষ আমাকে সাহায্য করতে চাইছে। আমি তাদের এই ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই। যাই হোক, এটা একটা প্রক্রিয়া ছিল এবং আমি আমার শাস্তি মেনে নিয়েছি। কারণ আমার মনে হয়েছে এটা করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।’
‘আমার পুরোপুরি ধ্যানজ্ঞান এখন আবারও ক্রিকেট মাঠে ফেরা এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলা। তার আগ পর্যন্ত আমার জন্য দোয়া করবেন এবং হৃদয়ে রাখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।’