কুমিল্লার কোটবাড়িতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও সিএনজিচালকদের হামলায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে কোটবাড়ির চাঙ্গিনীতে এই ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে হামলার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরের দিকে ছেড়ে যাওয়া নীল বাস কোটবাড়ির চাঙ্গিনী মোড়ে গেলে অপরদিক থেকে আসা একটি সিএনজি বাসকে জায়গা না দিয়ে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ও বাসের হেলপার এ ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গেলে সিএনজিচালক তর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয় দোকানদার এরশাদ মিয়াসহ পাঁচজন স্থানীয় লোক নিয়ে সিএনজিচালক বাবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইংরেজি বিভাগের জাহিদ নহিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তুষার ও বাসের সহকারী আহত হন। হামলার ঘটনায় আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পারলে কোটবাড়ি-কুমিল্লা সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা দোষীদের বিচারের দাবি জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মহসিন বলেন, আমরা এর মধ্যে সিএনজিচালককে আটক করেছি। আগামী ১০ তারিখের মধ্যে সব হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। এ অনুযায়ী মামলা করা হবে।