মোঃ খালেদ খান, পিরোজপুর প্রতিনিধি


মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে “ঘরে থাকুন-সুস্থ্য থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে পিরোজপুরের ৭টি উপজেলার ২৫ হাজার কর্মহীন শ্রমজীবী পরিবারকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। একই সাথে তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জেলার ৭টি উপজেলার অসহায় মানুষের মাঝে নগদ ২০ লাখ টাকা প্রদান করেছেন।
তিনি প্রতিটি উপজেলায় গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে খাদ্য সহায়তার খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দিচ্ছেন।
তিনি শুক্রবার মঠবাড়িয়া পরিষদ চত্বর ও ইন্দুরকানী উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে উপজেলার শ্রমজীবী মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এদিন তিনি মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ হাজার এবং ইন্দুরকানী উপজেলার ২ হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার জেলার কাউখালী উপজেলার ৩ হাজার মানুষের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন। এসময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গত রবিবার পিরোজপুর সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
শ্রমজীবীদের পরিবারের জন্য দেয়া খাদ্য সমগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ৫০০ গ্রাম লবন ও ১টি সাবান।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার জনগনকে ঘরে থাকতে বলেছে। সরকারী অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারের এ নির্দেশনা মেনে জনগণ ঘরে অবস্থান নিয়েছে। এ পরিস্থিতে প্রতিদিনের খেটে খাওয়া মানুষজনসহ নিম্ন আয়ের এবং নিম্নমধ্যবিত্তসহ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের এই দুর্দিনে একজন মানুষ হিসেবে আমার সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলার ৩ হাজার কর্মহীন শ্রমজীবীকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল এবং আধা কেজি লবনের একটি প্যাকেজ দেয়া হয়েছে।
জনসাধারণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ২০ হাজার মাস্ক, ১৬ হাজার হ্যান্ডওয়াশ, ৭ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫ হাজার সাবান এবং ২০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে হাত ধোয়ার জন্য স্থায়ীভাবে বেসিন বসানো হয়েছে।
জেলা পরিষদের এ উদ্যোগের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে জেলার ৭টি উপজেলার ২৫ হাজার অসহায় পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৬ হাজার, ইন্দুরকানী উপজেলায় ২ হাজার এবং কাউখালী উপজেলায় ৩ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার পিরোজপুর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নাজিরপুর উপজেলায় ২ হাজার ৫শ’ প্যাকেট, স্বরূপকাঠী উপজেলায় ৩ হাজার এবং ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৬ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে।